এই ফ্লাস্কে ব্যবহৃত হয়েছে ডাবল-ওয়াল ভ্যাকুয়াম ইনসুলেশন টেকনোলজি, যা বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রা এবং ভেতরের পানীয়র তাপমাত্রার মধ্যে একটি সুরক্ষিত বাধা তৈরি করে। ফলে গরম পানীয় তার তাপমাত্রা দীর্ঘ সময় ধরে ধরে রাখে এবং ঠাণ্ডা পানীয় ঠাণ্ডাই থাকে। সাধারণত এটি ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত গরম এবং ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ঠাণ্ডা রাখতে সক্ষম। এই ইনসুলেশন সিস্টেমে বাইরের অংশ গরম বা ঠাণ্ডা হয় না, তাই হাতে ধরতে পুরোপুরি নিরাপদ থাকে। অফিসে, স্কুলে বা ট্রাভেলে দীর্ঘ সময় পানীয় একই তাপমাত্রায় উপভোগ করতে পারবেন।
বটলের ঢাকনার উপরে থাকা স্মার্ট LED টাচ ডিসপ্লে মূলত একটি সেন্সর-ভিত্তিক সিস্টেম। আপনি ঢাকনার উপর আঙুল দিয়ে হালকা স্পর্শ করলেই সেন্সর বটলের ভেতরের পানীয়র তাপমাত্রা পরিমাপ করে LED স্ক্রিনে প্রদর্শন করে। এটি অত্যন্ত সুবিধাজনক, কারণ আপনি বুঝতে পারবেন কখন পানি বা চা/কফি নিরাপদে পান করার মতো ঠাণ্ডা বা গরম হয়েছে।
ডিসপ্লে পরিচালনার জন্য একটি লো-পাওয়ার মাইক্রো ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়, যা নিয়মিত ব্যবহারেও অনেক মাস থেকে ১ বছরের বেশি সময় ধরে চলে। কোনো চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
হ্যাঁ, এই স্মার্ট বটলটি সম্পূর্ণ ফুড-গ্রেড ৩০৪ স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে তৈরি। এটি আন্তর্জাতিক মানের খাবার-নিরাপদ উপাদান, যা পানীয়র স্বাদ পরিবর্তন করে না, কোনো রাসায়নিক নির্গত করে না এবং মরিচা ধরে না। এর ভিতরে BPA-free উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, তাই স্বাস্থ্যগত কোনো ঝুঁকি নেই। নিয়মিত প্রতিদিন পানীয় গরম বা ঠাণ্ডা রাখার জন্য এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ।
এছাড়া স্টেইনলেস স্টিল গন্ধ ধরে না এবং সহজেই পরিষ্কার করা যায়, ফলে আপনি দীর্ঘদিন একটি পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর বটল ব্যবহার করতে পারবেন।
এই বটলটিতে রয়েছে সিলড লিক-প্রুফ ডিজাইন, যেখানে ঢাকনার সঙ্গে রাবারাইজড সিলিং রিং ব্যবহার করা হয়েছে। এই রিং ঢাকনা এবং বটলের মুখের মাঝে একটি শক্ত সিল তৈরি করে, যাতে কোনোভাবেই পানি বাইরে বের হতে না পারে। এমনকি বটলটি উল্টো করে রাখলেও পানি বের হয় না।
ফলে আপনি এটি নিশ্চিন্তে ব্যাগে, অফিস ব্যাগে, স্কুল ব্যাগে বা ভ্রমণের ব্যাকপ্যাকে রাখতে পারবেন। ট্রাভেল, জিম বা বাইকে যাতায়াতে এই লিক-প্রুফ ফিচারটি বিশেষভাবে কাজে আসে, কারণ আপনি কোনো গরম/ঠাণ্ডা পানীয় ছড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকি ছাড়াই সহজে বহন করতে পারবেন।
ফ্লাস্কটি ডিশওয়াশারে রাখার জন্য উপযোগী নয়, কারণ ভ্যাকুয়াম ইনসুলেশন ও LED টপ এর কারণে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির ঝুঁকি থাকতে পারে। বটলটি পরিষ্কার করার জন্য হালকা গরম পানি, লিকুইড সাবান বা ভিনেগার-মেশানো পানি ব্যবহার করতে পারেন।
বটলের মুখ চওড়া হওয়ায় ব্রাশ দিয়ে খুব সহজে ভিতরের অংশ পরিষ্কার করা যায়। যদি কোনো গন্ধ বা দাগ তৈরি হয়, তাহলে এক চা চামচ বেকিং সোডা ব্যবহার করে পরিষ্কার করলে দ্রুত দূর হয়ে যাবে।
সঠিকভাবে পরিষ্কার ও শুকিয়ে রাখলে বটলের আয়ু অনেক বেড়ে যায় এবং এটি দীর্ঘ সময় নতুনের মতো থাকবে।